১৯৯৪ বিশ্বকাপের ঘটনা। আয়ারল্যান্ড হারিয়ে দিল ইতালিকে। পাড়ায় কিছু ছোট ছেলে এ উপলক্ষে আনন্দ মিছিল বের করেছে। আর সব মিছিলের মতো যথারীতি এখানেও অগ্রভাগে রাস্তার টোকাইরা।
হঠাৎ করে হাজির এক রণমূর্তি, যাদের হাতের কাছে পেলেন তাদের প্রত্যেককে একেকটা করে চড় কষালেন। বাকিরা দৌড়ে-পালিয়ে আত্মরক্ষা করল। রণমূর্তি ধারণকারী পাড়ার বড় ভাইটি তখনো গর্জন করছেন, ‘বিশ্বকাপ বুঝিস ব্যাটারা! ইতালি হারাতে খুশি! এসব আয়ারল্যান্ড-ফায়ারল্যান্ডের খেলা দেখার জন্য কি বিশ্বকাপ নাকি?’
মফস্বল শহরের কোনো এক গভীর রাতে শোনা সেই কথাটি মনে গেঁথে আছে। আসলেই তো! আমরা অঘটন-অঘটন বলে লাফাই, নতুন শক্তির উত্থানে কেউ কেউ খুশি হই, কিন্তু একটা অফ-ডে’র ধাক্কায় একটা বড় দলের বিদায় নেওয়া মানে তো বড় মাপের কিছু খেলোয়াড়ের খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত হওয়া।যাঁরা রাত জেগে ইউরোপিয়ান লিগ দেখেন তাঁদের অসুবিধা নেই, কিন্তু শুধু বিশ্বকাপের সেতুতে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সঙ্গে যে সাধারণ দর্শকের সম্পর্ক তাঁরা তো আসলে বড় দলের বিদায়ে বঞ্চিতই হন। যা-ই হোক, অনেক বছর আগে যা ছিল সামান্য জ্বর বা মাথাব্যথার মতো ছোট্ট সমস্যা, এখন যেন সেটা প্রায় মহামারি। আরেকটা গল্প বলি। এই বিশ্বকাপেরই।অফিসে মেক্সিকো-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে দেখি মেক্সিকোর পক্ষে প্রচুর সমর্থক। থাকারই কথা। দুর্বলের প্রতি বাঙালির ভালোবাসা চিরকালীন আর বিশ্বকাপ এলে সেটা একেবারে উপচে পড়ে। অতএব সবাই মেক্সিকো হবে স্বাভাবিক। কিন্তু একটু পরে অবাক হয়ে দেখি, নেদারল্যান্ডসের সমর্থকও অনেক।তা নেদারল্যান্ডস, বড় দল, দারুণ ফুটবল খেলে, রবেন-পার্সির মতো আকর্ষণীয় ফুটবলাররা আছেন, তাদের সমর্থন তো স্বাভাবিক। কিন্তু একটু পর খেয়াল করলাম, এই সমর্থনের মধ্যেও মেরুকরণ আছে। ব্রাজিল সমর্থক যাঁরা তাঁরা নেদারল্যান্ডসের পক্ষে, যখন আর্জেন্টিনা সমর্থকরা মেক্সিকোর দিকে। কারণ! নেদারল্যান্ডস যে ভাগে সেই ভাগে আর্জেন্টিনা। দুই দল নিজেদের ম্যাচ জিতে এগোলে সেমিফাইনাল হওয়ার কথা নেদারল্যান্ডস-আর্জেন্টিনা। কাজেই আর্জেন্টিনা সমর্থকদের সিংহভাগ তাদের বিদায় চায়, তাতে সম্ভাব্য সেমিফাইনাল ঝুঁকি দূর হয়ে যায়। ব্রাজিল সমর্থকদের অনেকের কাছে সেটাই অপছন্দের। যদি আর্জেন্টিনা সেমিতে চলে যায় এবং নেদারল্যান্ডস না হয়ে মেক্সিকো বা এ রকম কেউ প্রতিপক্ষ হয় তখন তো ফাইনালে চলে যাবে! আটকাতে হবে না। আরেক দিন জার্মানির একটা ম্যাচ দেখছিলাম দুই বন্ধুর সঙ্গে এবং দুজন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায় সমান ভাগে বিভক্ত। দুজন সংগত সমীকরণে জার্মানির বিরুদ্ধে। কিন্তু সেদিন জার্মানির হারা-জেতা নিয়ে তাদের বিশেষ টেনশন নেই। একজন মাঠের চেয়ে সাইডবেঞ্চ নিয়ে চিন্তিত, কখন না আবার ক্লোজেকে নামিয়ে দেয় কোচ। ব্রাজিলিয়ান জনের টেনশন, ক্লোজে নামলে রোনালদোর সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। আর আর্জেন্টাইন জন! ম্যুলার গোল করার পর প্রচণ্ড রেগে গেল! এত লোক থাকতে ম্যুলার গোল করবে কেন? বাকিরা করেটা কী? ম্যুলারের অপরাধ গোল করে সে মেসির গোল্ডেন বুট জয়ের পথে বাধা হয়ে থাকল!
সমর্থন না হলে ঠিক উত্তেজনার সঙ্গে শরিক হওয়া যায় না, তার তীব্রতা বিরোধী পক্ষের বিরোধিতাও খুব স্বাভাবিক, কিন্তু তীব্র বিরোধিতাটা উৎসবের পরিবেশে জল ঢেলে আগুন জ্বালাচ্ছে। আবার অন্যদিকে নিজের দলের বাইরে সব ‘ভালো’র বিরোধিতা উপভোগ্যতার ক্ষেত্রটাকে কত ছোট করে দিচ্ছে! ভালো গোল দেখে খুশি হলাম না, কারণ আমার প্রিয় খেলোয়াড় করেনি। ভালো খেলা দেখে বিরক্ত হলাম কারণ আমার দল খেলেনি। অমুক দল ভালো খেলায় বিরক্ত হলাম, কারণ তাতে লোকে ওদের প্রশংসা আমার প্রিয় দলের চেয়ে বেশি করবে! বিশ্বকাপের সময় বাংলাদেশে যত ব্রাজিলিয়ান পতাকা ওড়ে ব্রাজিল ছাড়া আর কোথাও এত পতাকা ওড়ে না নিশ্চিত। ব্রাজিলিয়ানরা শুনে খুব অবাক হয়, গত বিশ্বকাপে নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি। কিন্তু আবার অন্যদিক থেকে দেখুন, প্রতি ম্যাচে বাংলাদেশের কয়েক কোটি লোক ব্রাজিলের ব্যর্থতা এবং হার কামনা করে। এত গালাগালও বোধ হয় ব্রাজিলকে আর কোথাও শুনতে হয় না। মেসির নামে কয়েক কোটি মানুষ বাংলাদেশে পাগল। কিন্তু মেসি কি জানেন বিশ্বকাপে তাঁর একটা ব্যর্থতায় খুশি হওয়ার জন্য কত লোক বসে!
কারণ আছে। প্রতিপক্ষ সমর্থকদের খোঁচাখুঁচির যন্ত্রণা। কিন্তু যেভাবেই হোক এভাবে উপভোগ্যতার গণ্ডি ছোট করে নিয়ে নিজেরাই নিজেদের কী বঞ্চিত করছি! অথচ বিশ্বকাপটা হচ্ছে স্মরণকালের সবচেয়ে আকর্ষণীয়। দ্যুতিময় সব তারকা- অসাধারণ সব গোল- দারুণ সব ম্যাচ!
২.
উপভোগ্যতার এই বৃত্ত সংকোচন বাংলাদেশের সমস্যা, কিন্তু একটা সমস্যা বোধ হয় পুরো ফুটবল জগতেরই। খেলা আর খেলোয়াড়ের মূল্যায়ন বা বিশ্লেষণের ধরনটা এমন বদলে গেছে যে সবর কিছু হয়ে গেছে গোলকেন্দ্রিক। আমাদের কৈশোরে জাদুর বাক্স নিয়ে ম্যারাডোনা তো ছিলেনই, ছিলেন শিল্পিত সৌন্দর্যের পসরা নিয়ে জিকো-সক্রেটিস আর প্লাতিনি। এঁরা কে কয়টা গোল করেছেন? তাঁদের অ্যাসিস্টের সংখ্যাই বা কত? এই নিয়ে কোনোদিন ভাবিনি, তাঁদের তৈরি স্বর্গীয় মুহূর্তগুলো উপভোগই করে গেছি, কিন্তু এখনকার মূল্যায়নের ধরন দেখে প্রশ্ন জাগে আজকের যুগ হলে কি এঁরা নায়কের আসনে থাকতেন! এখন তো গোল করা, করানো আর ঠেকানোর নিরামিষ পরিসংখ্যানে ঢুকে গেছে ফুটবল। এখন ফুটবল মানে শুধুই এবং শুধুই গোলের খেলা যেন। গোলের হিসাব অনেক বেশি রাখা হয়, কে গোল করালেন সেই অঙ্কও করে আজকের আধুনিক প্রযুক্তি, কে কয়টা ট্যাকল করলেন, তার হিসাবও আছে আর হিসাবরক্ষকদের খাতার মতো তথ্যে ভরে থাকা এই অঙ্কে হারিয়ে মাঠের মধ্যে ম্যাজিক মোমেন্ট তৈরি করা শিল্পীর কীর্তি। এখন কোনো একটা ড্রিবলিং বা পাস শুধুই মনে রাখা হয় যদি সেটা থেকে গোল হয়। না হলে সব অকারণ হাততালির চেষ্টা। এবং বাতিলযোগ্য। কেউ একজন যে একটা ডামি খেলে, সৃষ্টিশীলতার সর্বোচ্চ ক্ষমতার স্ফুরণে জাদু ছড়িয়ে গেলেন, সেটা কোনো হিসাবের অ্যাকাউন্টে জমা হয় না। জমা হওয়ার কথা মনের অ্যাকাউন্টে কিন্তু সময়ে আমাদের মনের খাতায়ও অঙ্কেরই বেশি জায়গা। পৃথিবীর গতি আর যান্ত্রিকতা, সাফল্যের আধুনিক সংজ্ঞা মিলিয়ে নতুন ধরনের যে বোধ তা ফুটবল অ্যাপ্রিসিয়েশনকেও প্রভাবিত করে সুরটা কেড়ে নিচ্ছে। কাব্য-ছন্দের আর জায়গা নেই। এসব পুরনো দিনের বিলাসী রোমান্টিকতা। বাস্তব-সাফল্য আর ফলসর্বস্ব পৃথিবীর নির্মমতার কাছে আরো অনেক কিছুর মতো ফুটবল সৌন্দর্যের একটা অঙ্গের বলি হচ্ছে নীরবে-নিভৃতে।
কী আর করা! দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে মানতেই হচ্ছে। জ্যোৎস্নার আলোর মায়াবি টান আর নেই, কৃত্রিম আলোতেই এখন সবার চলে।
৩.
এই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে মনে রাখার ব্যাপার গোল না গোলরক্ষক, তাই নিয়ে বিতর্ক সম্ভব। দারুণ খেলছেন বেশির ভাগ গোলরক্ষক। গোলরক্ষকরা যে বিশ্বকাপে দারুণ খেলেন তাতে গোলদুর্ভিক্ষ হওয়ার কথা। অথচ আশ্চর্য, ওদিকে চলছে গোলবন্যা। কিভাবে সম্ভব? তাহলে নিশ্চিতভাবে ডিফেন্ডাররা খারাপ খেলছেন। সেটাও ঠিক কিন্তু একটু গভীরে গেলে ফুটবলীয় পরিবর্তনের কিছু গতি-প্রকৃতি টের পাব।
গত বিশ্বকাপে খুব জনপ্রিয় হয়েছিল ৪-২-৩-১ পদ্ধতি। মিডফিল্ডটাকে ভাগ করে কাজটা একরকম সুনির্দিষ্ট করে দেওয়ার ফলও মিলেছিল বেশ এবং কার্যক্ষেত্রে কখনো কখনো চারজনকে আক্রমণে পাওয়া যাওয়ায় অনেক দলই গত চার বছরে এভাবেই তৈরি হয়েছে। এই বিশ্বকাপেও এ ফর্মেশনই বেশির ভাগ দলের। তো ঘটনা যেটা ঘটে, সেন্টার ফরোয়ার্ডের ঠিক পরের লাইনের তিনজনের মূল কাজ আক্রমণ, তাই তারা প্রেসিংটা শুরু করে বিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ে বল থাকার সময় থেকেই। আগে যেটা হতো, সাধারণত ডিফেন্ডাররা যখন নিজেদের ডি বক্সের আশপাশে খেলত, তখন অ্যাটাকাররা তাদের বল ছাড়ার আগ পর্যন্ত দেওয়া-নেওয়া করতে দিয়ে মতিগতি বুঝতে চাইত, কিন্তু এখন প্রেসিংটা শুরু করে ওখান থেকেই। এবং সংখ্যায় চারজন শামিল থাকে বলে অনেক ক্ষেত্রেই চাপটা বেশি হয়ে যায়, ডিফেন্ডাররা ভুল করে, সুযোগ তৈরি হয়ে যায় সহজেই। এটার দেখাদেখি অন্য পদ্ধতিতে খেলা দলগুলোও প্রেসিং শুরু করছে ওখানেই।
দ্বিতীয় বিষয় এবং যেটা ৪-২-৩-১ পদ্ধতির ঘাটতির দিক সেটা হলো, এই ধরনে চার ডিফেন্ডারের সামনে যে দুজন মিডফিল্ডার থাকেন, তাঁরা সাধারণত ডিফেন্সিভ ঘরানার হন, রক্ষণভাগকে ছায়া দেওয়ার কাজটা করেন। আবার তাঁদের সামনের লাইনের দুজন উইঙ্গার বা উইং মিডিও এবং মাঝখানে ‘নাম্বার টেন’ বা ক্রিয়েটিভ মিডফিল্ডার। ফলে যেটা হচ্ছে ঠিক মাঝখানে লোকসংখ্যা কমে যাচ্ছে, ভিড়টা সেভাবে থাকছে না। আর তাই বলটা সহজেই চলে আসছে ডিফেন্সে। আগে, সাধারণত যখন ৪-৪-২তে খেলা হতো তখন মধ্যমাঠে দুই দল মিলিয়ে আটজন থাকতেন, সেখানে চ্যালেঞ্জ হতো, লড়াই হতো, এরপর ডিফেন্সে আসার প্রশ্ন। এখন এ জায়গাটা অনেক ফাঁকা হয়ে যাওয়াতে আক্রমণে যাওয়া এবং পাল্টা-আক্রমণের সুযোগ তৈরি হওয়া দুটিই ঘটছে অনেক বেশি। ফলে গোলের সুযোগ এবং শট অনেক বেশি। অনেক বেশি পরিষ্কার শট হলে অনেক বেশি গোল হবে স্বাভাবিক। আবার অনেক শট হলে গোলরক্ষকও অনেক বেশি ঠেকাবেন সেটাও স্বাভাবিক। দুটো মিলিয়ে তাই গোলরক্ষকও কীর্তিমান। গোলও বহমান।
বলটাও একটা বিষয়। অন্য বিশ্বকাপগুলোতে অফিশিয়াল ম্যাচ বলগুলোতে বাগে আনতে খেলোয়াড়দের একটু সময় লাগে। গোলরক্ষকরা তাল বুঝতে না পেরে শুরুতেই বাজে কিছু গোল খেয়ে নেন। এবারের বলে সেই সমস্যা তো নেই-ই, বরং সুবিধার দিকই বেশি দেখছি। নইলে এত এত ভলি কিভাবে গোলে থাকে! ভলি মারাটা সাধারণ শট মারার চেয়ে অনেক কঠিন, তার চেয়ে অনেক কঠিন ভলিগুলোকে লক্ষ্যে রাখা। এবার সেগুলো খুব থাকছে আর দারুণ দারুণ সব গোল হচ্ছে। একটা পক্ষ এটাকে উপভোগ করতে পারছেন না, ডিফেন্ডাররা। সত্যি বললে, এবারের বিশ্বকাপে সম্মিলিত পক্ষ হিসেবে তাঁরাই সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছেন। এর অনেক কারণের একটা কারণ, ওই যে আগে বলছিলাম মধ্যমাঠে চ্যালেঞ্জটা কম হওয়ার কারণে তাঁদের ওপর চাপটা অনেক বেশি পড়ছে। এবং চাপের মুখে ভুলের সংখ্যাও অনেক বেশি। পৃথিবীতে ফুটবলের যত ট্যাকটিক্যাল পরিবর্তন এসেছে তার সিংহভাগেরই পেছনে ছিল গোল না খাওয়ার চিন্তা। রক্ষণভাগকে আরো সংহত করা। এই বিশ্বকাপ সেই হিসাবে ফুটবল-ভাবুকদের জন্য একটা বড় দরজা খুলে দিয়েছে। সেই দরজা দিয়ে আবার ভয়ংকর রক্ষণমনস্ক কোনো কূটকৌশল ঢুকে যায় কিনা সেটাই চিন্তার।
৪.
গোল আর গোলরক্ষকের মতো আরেকটা ধাঁধাও আছে এই বিশ্বকাপে।
এই বিশ্বকাপে দল হিসেবে সবচেয়ে ভালো খেলছে কোন দুই দল? অবশ্যই প্রথম কলম্বিয়া। দ্বিতীয় স্থান নিয়ে দ্বিধা থাকলেও ফ্রান্সই বোধ হয় বেশি নম্বর পাবে। মজার ব্যাপার দেখুন, এই দুই দল বিশ্বকাপে এসেছে তাদের সেরা দুই তারকাকে বাদ দিয়ে। ফালকাও এবং রিবেরি ইনজুরিতে বিশ্বকাপ মিস করার পর এদের বাতিলই করে দিয়েছিলেন প্রায় সবাই। অথচ সেরা তারকাকে বাদ দিয়ে ওরা কী দুর্দান্ত দল!
আবার প্রাক-বিশ্বকাপ সমীকরণে সেরা তিন তারকা হচ্ছেন মেসি-রোনালদো এবং নেইমার। এবং বিশ্বকাপে অগোছালো খেলা দলগুলোর তালিকা করলে এই তিনজনের দল সেই তালিকায় সগৌরবে থাকবে। অথচ মজার ব্যাপার হলো, এই তারকারা কিন্তু দারুণ খেলছেন কিংবা খারাপ খেলেননি।
সেরা তারকা ছাড়াই দল ভালো খেলে! আবার তারকাদের নিয়ে দল খারাপ খেলে! আবার সেই তারকারা নিজেরা খারাপ খেলছেন না!
ধাঁধা না! সেই ধাঁধার রহস্য নিয়ে আরেক দিন আলোচনা করা যাবে। সেই পর্যন্ত ডুবে থাকি এই অদ্ভুত সুন্দর বিশ্বকাপে।
যে বিশ্বকাপ ধাঁধার, কীর্তির এবং সুন্দরের।
প্রথম প্রকাশঃ কালের কন্ঠ, ০৩ জুলাই, ২০১৪
লিংকঃ কীর্তির, ধাঁধার এবং সুন্দরের বিশ্বকাপ