মোস্তফা মামুন
জন্মঃ ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৭৪, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার
পেশাঃ সাংবাদিক, কথা সাহিত্যিক, কলাম লেখক
ভাষাঃ বাংলা
জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী
নাগরিকত্বঃ বাংলাদেশ
শিক্ষাঃ স্নাতক, স্নাতকোত্তর
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট ক্যাডেট কলেজ
মোস্তফা মামুন (জন্ম: ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৭৪) একজন বাংলাদেশী লেখক, সাংবাদিক। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের দৈনিক দেশ রূপান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক পদে কর্মরত। তাঁর লেখা কিশোর উপন্যাস এবং গোয়েন্দা তনুকাকা সিরিজ তুমুল জনপ্রিয়।
জন্ম ও শিক্ষা
মোস্তফা মামুনের জন্য মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান।
তিনি সিলেট ক্যাডেট কলেজ থেকে ১৯৯১ সালে এসএসসি ও কুমিল্লা ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১৯৯৩ সালে এইচএসসি পাশ করেন। ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগ থেকে নিয়েছেন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। এরপর মোস্তফা মামুনের হওয়ার কথা ছিল আইনজীবি। কিন্তু হননি, হয়েছেন সাংবাদিক।
কর্মজীবন
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকেই, ১৯৯৫ সালে যুক্ত হন দৈনিক ভোরের কাগজে। সেখান থেকে ১৯৯৮ সালে যোগ দেন প্রথম আলো’য়। দৈনিক প্রথম আলো থেকে ক্রীড়া সম্পাদক হিসাবে ২০০৪ সালে যোগ দেন যায়যায়দিনে। ২০০৯ সাল থেকে কালের কণ্ঠেও ছিলেন ক্রীড়া সম্পাদক। এরপর ২০১৫ সালে পদোন্নতি পেয়ে হন উপসম্পাদক। ২০২২ সালে নির্বাহী সম্পাদক হিসাবে যোগ দেন দেশ রূপান্তরে। এখন সেখানেই তিনি পালন করছেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব। কোন ক্রীড়া সাংবাদিকের পত্রিকার সম্পাদক হওয়া বিরল রীতিমত।
যায়যায়দিন’এ যোগ দিয়ে মোস্তফা মামুন নিয়েছিলেন সাহসী সিদ্ধান্ত। খেলার পৃষ্ঠার আয়োজন করেন দুটি, যা বাংলাদেশে কোন দৈনিক পত্রিকায় প্রথম । ২০০৯ সালে কালের কণ্ঠে নাম লিখিয়ে বিপ্লবই ঘটান রীতিমত। এবার তাঁর নেতৃত্বে খেলার পাতা বেড়ে হয় প্রতিদিন চার পৃষ্ঠা। ২০১০ সালে পথ চলা শুরু কালের কণ্ঠের। সেই বছরই দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্টিত হয় ফুটবল বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপে দৈনিক কালের কণ্ঠের খেলার পাতা ছিল প্রতিদিন আট পৃষ্ঠা! তাতে ঝড় ওঠে ক্রীড়াঙ্গনে। নতুন একটি দৈনিক মোস্তফা মামুনের দূরদর্শিতায় পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠে অল্প সময়ে।
১৯৯৯ সালে নেপালে বাংলাদেশ ফুটবলের সাফ সোনা জয়ের ঘটনা তুলে ধরেছেন চোখের সামনে ঘটা ঘটনার মত । ক্রিকেটে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার আগে-পরের সময়ে খেলার সংগে সাহিত্যের সংযোগ ঘটিয়ে লেখা রিপোর্টগুলো দেশের ক্রীড়া সাংবাদিকতায় যোগ করেছিল নতুন মাত্রা। চারটি ক্রিকেট বিশ্বকাপের সংগে কভার করেছেন ২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ, ২০১৭ সালের উয়েফা চ্যামি্পয়ন্স লিগ ফাইনালও। ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ কাভার করতে যান ইংল্যান্ডে। তখন নির্বাচন চলছিল দেশটিতে। খেলার পাশাপাশি রাজনীতি নিয়ে রিপোর্টগুলোয় ফুটে উঠেছিল তাঁর বহুমাত্রিকতা।
উল্লেখযোগ্য রচনা
সাংবাদিকতার পাশাপাশি ছাত্রাবস্থায় লেখা কিশোর উপন্যাস দিয়ে পাঠকদের মন জয় করার পর লিখেছেন নানা রকমের লেখা। বইয়ের সংখ্যা একশ’রও বেশি। এর মধ্যে ক্যাডেট নাম্বার ৫৯৫, ফ্রেন্ডস ক্লাব, ক্যাম্পাস ১৯৯৫, অন্ধ গলিতে ফুলের গন্ধ, কোটিপতি বদরু ভাই, ম্যাচের আগের দিন, গোয়েন্দা তনু কাকা সিরিজ, কিশোর ভৌতিক সিরিজ ব্যাপকভাবে সমাদৃত। গল্প-উপন্যাস, খেলার লেখা, রাজনীতির কলাম এসব কিছুই তিনি লিখেন গল্পের মতো করে। সেটাই তার বিশেষত্ব, সেখানেই তিনি আলাদা।